উত্তর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সড়ক ও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ রামগড়-করেরহাট (ফেনী-খাগড়াছড়ি) সড়কের লোহার ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, সড়ক বিভাগ এই ব্রিজগুলো সংস্কার না করে নতুনভাবে ব্রিজ নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যাত্রীসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা কখন দুর্ঘটনা ঘটছে এ আশঙ্কায় থাকে। সড়কের হেঁয়াকো-করেরহাট অংশে ভাঙা টাওয়ার এলাকার লোহার ব্রিজ, পুলিশ চেকপোস্টের সামনের ব্রিজ, কয়রা ব্রিজ ও বাগানবাজার চা বাগান এলাকার ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই সড়কে যাতায়াতকারী রামগড়ের সাংবাদিক নিজামউদ্দিন লাভলু বলেন, এমনিতে পাহাড়ি রাস্তা আঁকাবাঁকা। তার মাঝে ব্রিজগুলোও লক্কর-ঝক্কড়। তাই এখানকার ৮টি ব্রিজ সংস্কার করা জরুরি।
বাসচালক মিয়া ড্রাইভার বলেন, ব্রিজগুলোর কারণে অতীতে কয়েকটি দুর্র্ঘটনায় বেশকিছু প্রাণহানি ঘটেছে। এরপরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
হেঁয়াকো বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঢাকা থেকে সহজে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় বলে ভূজপুর, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানের লোকজন চট্টগ্রাম শহরে না গিয়ে এই রাস্তা দিয়ে সহজে যাতায়াত করে। পাশাপাশি খাগড়াছড়িতে কৃষকের উৎপাদিত কাঁচামাল এই সড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়।
এ ব্রিজগুলো সংস্কারের বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো সংস্কারে আমরা জরুরিভিত্তিতে মন্ত্রণালয়কে জানাবো।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহাবউদ্দিন বলেন, ব্রিজগুলো নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত আছেন। বাজেট আসলে কাজ শুরু করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস